বঙ্গবন্ধু: যার কর্মজীবনই গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে জন্মদিনকে
ইতিহাসের মহানায়ক হওয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ সব কালে, সব যুগে জন্ম নেয় না। যুগ-যুগান্তরের পথপরিক্রমায় হাতে গোনা দু-একজন মানুষই ইতিহাসের মহানায়ক হয়ে উঠতে পারেন।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন এমন এক মহানায়ক। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে তিনি স্বীকৃতি লাভ করেন ইতিহাসে, কোটি বাঙালির হৃদয়ে। টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু মুজিব। আপাদমস্তক একজন মানবতাবাদী ও সংগঠকের পরিচয় দেন শৈশব-কৈশোর থেকেই। ছাত্রজীবনেই যার রাজনীতির হাতেখড়ি।
৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার প্রতিটি মানুষের প্রতিটি বুলিতে নতুন করে জন্ম নিচ্ছেন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে জেল-জুলুম আর পাকিস্তানি শাসকের রোষানলে। ১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন লাল-সবুজের ভূখণ্ড–স্বাধীন বাংলা।
১৯৫৮, ’৬৬, ’৬৯ ও ’৭১ - ধারাবাহিক সংগ্রামের ইতিহাসে বাংলার মানুষের বেঁচে থাকার প্রতিদিনের অনুপ্রেরণা হয়ে মিশে আছেন স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তার জন্মদিনই তাকে মহিমান্বিত করেনি; বরং তার কর্মই তাকে মহান করে তুলেছে–বলছেন রাজনীতিবিদরা। ৭ ও ২৬ মার্চ ১৭ মার্চকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে মনে করেন তারা।
শুধু ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ নয়, শেখ মুজিব জন্ম নেন প্রতিদিন সব শুভ চিন্তায় ও কর্মে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীন রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেননি, কীভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে সে বিষয়েও পথ নির্দেশনা তৈরি করে দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাল-সবুজের ভূখণ্ডে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে থাকবেন চিরঞ্জীব, থাকবেন প্রেরণার প্রতীক হিসেবে। তাইতো ১৭ মার্চকে বিশেষ মর্যাদা ও অকুণ্ঠ চিত্তে স্মরণ করেন কোটি কোটি বাঙালি।